হামদ ছানার পর
আমাদেরকে আল্লাহ যা হতে উপদেশ দিয়েছেন সেটি হলো তাকওয়াবান বান্দা হওয়া।কোরআনে অসংখ্য অগণিত আয়াতে তাকওয়াবান হওয়ার কথা বলা হয়েছে।আল্লাহ নিজে অনেক পথও বাথলে দিয়েছেন কিভাবে তাকওয়াবান হবো।আজ সংক্ষেপে আলোচনা করবো তাকওয়া অর্জনের সবচেয়ে মজবুত হাতিয়ার কী?
তাকওয়া অর্জনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার দুআ, মুত্তাকীদের সোহবত, হিম্মত ও আল্লাহ ও রাসুলের মুহাববত । এ চারটা বিষয়।
আমরা ধোঁকায় থাকি, গাফলতে থাকি, এজন্য আমাদের কাছে সবই কঠিন মনে হয় । কিন্তু যদি চিন্তা করা হয় তাহলে দেখা যাবে, এ চারটার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হল, হিম্মত। আবার হিম্মতের চেয়ে কঠিন চেষ্টা করা। আপনার মধ্যে ন্যূনতম যে হিম্মত আছে সেটাকে কাজে লাগান এবং আরেকটু আগে বাড়ুন। ওটাকে কাজে লাগিয়ে আরেকটু আগে বাড়ার চেষ্টা করুন। তো হিম্মত অনেক শক্তিশালী নিআমত। শুধু একটু তাওয়াজ্জুহ দরকার।
বিভিন্ন দোষত্রুটি ত্যাগ করার ইচ্ছা মানুষ এই ভেবে বাদ দেয় যে, অভ্যাস হয়ে গেছে। অভ্যাস ত্যাগ করা খুব কঠিন। সব কঠিনের পেছনে কারণ হল, আমরা এই চার হাতিয়ার কাজে লাগাই না। শুধু একটাকে লাগাই। শুধু দুআ করি। শুধু দুআ এমন হাতিয়ার যা একা কখনো যথেষ্ট নয়। শুধু দুআর হাতিয়ার কাজে লাগানো মানে দুআর নাশোকরি করা।
আসল দুআ তো হল, দিল হাযির রেখে আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া।
ﺃَﻣَّﻦْ ﻳُﺠِﻴﺐُ ﺍﻟْﻤُﻀْﻄَﺮَّ ﺇِﺫَﺍ ﺩَﻋَﺎﻩُ
‘বল তো কে নিরুপায় মানুষের ডাকে সাড়া দেন ‘যখন সে ডাকে’ (সূরা নামল )
ইযতিরারী হালত বা নিরুপায় অবস্থা যখন মানুষের পয়দা হবে, দিল হাযির রেখে যখন মানুষ দুআ করবে তখন যত বড় নাস্তিক হোক আল্লাহ সাথে সাথে দুআ কবুল করে নিবেন। আর এই ইযতিরারী হালত তখন পয়দা হবে, যখন আপনি অন্য সকল হাতিয়ারকে কাজে লাগাবেন। এসকল হাতিয়ার ব্যবহার করা ছাড়া ইযতিরারী হালত বা নিরুপায় ভাব পয়দা হওয়া কখনো সম্ভব না। সেজন্য শুধু এক হাতিয়ার ব্যবহার করা যেন কোনো হাতিয়ারই ব্যবহার না করা।
মুত্তাকীদের সোহবত দ্বারা কোন ধরনের সোহবত উদ্দেশ্য?
আল্লাহ বলেন-
ﻭﻛﻮﻧﻮ ﻣﻊ ﺍﻟﺼﺎﺩﻗﻴﻦ
তোমরা সত্যবাদীদের(মুত্তাকীদের) সাথী হও(সোহবাত নাও)।
সোহবত দ্বারা উদ্দেশ্য, মুত্তাকীদের সাথে এমন সম্পক যে সম্পর্কের কারণে আমার মাঝে নাড়াচাড়া পড়বে। কিন্তু আজকাল মানুষের অভ্যাস হল - কোনো আল্লাহওয়ালা বুজুর্গকে দেখল, তো তার হাতে বাইআত হয়ে গেল। বাইআত হয়েই নিজের সম্পর্কে একেবারে খুশী । কিছু অযীফা নিয়ে এল। তারপর ওটার উপর আমল করল বা করল না।
তো এটা হল মুত্তাকীদের সোহবতের একেবারে নিম্ন পর্যায়। আসলে মুত্তাকীদের সোহবত হল, তাঁর মজলিসে নিয়মিত বসার সৌভাগ্য যদি নাও হয়, কিন্তু আমি যেহেতু তাঁর নেগরানী গ্রহণ করেছি, তাঁর তত্ত্বাবধান গ্রহণ করেছি, আমার হালত তাঁকে জানাব। কোনো কিছু লুকাব না।তার আমল দেখে নিজেকে শুধরে নেবো, তারপর যে হেদায়েত তিনি আমাকে দেন সেই হেদায়েতের উপর আমল করব। আমল করার মধ্যে ত্রুটি হয়ে গেলে ওটা আবার জানাব। এটা হল সোহবত। এটা যদি কাছে থেকে হয় তাহলে নূরুন আলা নূর। বাংলায় সোনায় সোহাগা। খুব ভালো। আর যদি কাছে থেকে না হয়; বরং দূরে থেকে হয় তাহলেও এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
অনেক সময় এমন হয় আমার চোখে সত্যিকারের যারা মুত্তাকী, যাদের সোহবত আসলেই গ্রহণ করা যায় তাদের তো কারো সাথে দেখা করারও সুযোগ নেই। কথা বলারও সুযোগ নেই। কারো প্রশ্নের জবাব দেয়ারও সুযোগ তাদের নেই। তো তাদের সোহবত লাভের জন্য কী করণীয়?
চেষ্টা করলে যে, সময় পাওয়া যাবে না এরকম নয়। দুনিয়াতে এমন লোক অনেক আছেন, শত ব্যস্ত হলেও তাদেরকে যদি আমরা আমাদের আগ্রহ দেখাতে পারি তাহলে তাদের কাছ থেকে সময় নেওয়া যাবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ উপায় চিঠি লেখা।অথবা আমি যাকে কাছে পাবো এমন এক মুত্তাকী বের করা যার কাছ থেকে হেদায়াত নেওয়া যাববে।
তো তাকওয়া অর্জনের চারটি হাতিয়ারের কথা বলছিলাম। এক. দুআ করা, দুই. মুত্তাকীদের সোহবত, তিন. হিম্মত, চার. আল্লাহ ও রাসুলের মুহাববত।
দিলে আল্লাহর মুহাববত বাড়াতে হবে।
দুনিয়াতে স্বভাবগতভাবেই মানুষের কারো না কারো প্রতি টান থাকে, দুর্বলতা থাকে। সেটার উপর কেয়াস করে আপনি আল্লাহর মুহাববতটাকে বুঝতে পারেন।
কারো প্রতি আপনার দুর্বলতা থাকলে আপনি তার সাথে কেমন আচরণ করেন? অথচ সে মাখলুক। আপনার উপর তার যদি কোনো ইহসান থাকেও তাহলে তা আল্লাহর তাওফীকে হয়েছে এবং ঘুরেফিরে তার সকল ইহসান আল্লাহর দিকেই যাবে। এরপরও তার প্রতি আপনার এত রেয়ায়েত, এত দুর্বলতা ! আল্লাহ রাববুল আলামীনের নিআমতে তো সেও ডুবে আছে, আপনিও ডুবে আছেন। তার প্রতি যদি আপনার এত মুহাববত হয় তাহলে আল্লাহর
সাথে আপনার মুহাববত কেমন হবে? কেমন হওয়া উচিত?
স্বভাবগতভাবেই মানুষের মধ্যে আল্লাহর মুহাববত সবচেয়ে বেশী থাকে। কিন্তু আল্লাহর নিআমতের কথা স্মরণ না করার কারণে সেই মুহাববত চাপা পড়ে থাকে।মোহাব্বাত পয়দার জন্য আল্লাহর
নিআমতের কথা স্মরণ করা। বেশী বেশী যিকির করা। কুরআন তিলাওয়াত করা। যাদের ভেতর আল্লাহর মুহাব্বাত আছে তাদের নিকট যাওয়া।
আরেকটি বড় পন্থা হলো রাসুল সাঃ কে মহব্বত করা,রাসুলের প্রতি মহব্বত বাড়ানো।রাসুলের প্রতি মহব্বত যত বাড়বে তথ বেশী আল্লার মহব্বত পয়দা হবে।আর রাসুলের প্রতি মহব্বত বাড়াতে হলে বেশী বেশী সুন্নাহ অনুসরণ করা,দুরুদ পড়া।
আল্লাহ ও রাসুলের মুহাববত বাড়ানোর চেষ্টা করতে গেলেই মানুষ একটা ধাক্কা খায়। হয়ত কখনো গোনাহ হয়ে গেলে ধাক্কা যাবে। অথবা কখনো নেক আমল ছুটে গেলে ধাক্কা যাবে। এভাবে ধাক্কা খাবে একবার, দুইবার, তিনবার, চারবার। তারপর আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। এটা অনেক বড় একটা কৌশল। আল্লাহ ও রাসুলের মুহাববত বাড়াতে হবে এবং মুহাববতটাকে হাযির করতে হবে। অনুশীলন করতে করতে মুহাববতটাকে হাযির করতে হবে। আমার আল্লাহ নারায হবেন- এই ভেবে গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আমার উস্তাদ যদি আমাকে এই কাজটা করতে দেখেন, তাহলে তিনি কী ভাবতেন? আমি কি এই কাজটা তার সামনে করতে পারতাম? অথচ উস্তাদ আমার চোখের আড়ালে আর আমিও তার চোখের আড়ালে। তো একজন উস্তাদের বেলায় যখন এ কথা ভাবতে পারি তাহলে আমার আল্লাহ সম্পর্কে কি এ কথা ভাবতে পারি না? আমার আল্লাহ তো আমাকে সব সময় দেখেন। তিনি আমার চোখের আড়ালে হলেও আমি তো আল্লাহর চোখের আড়ালে না। ﻓﺎﻥ ﻟﻢ ﺗﻜﻦ ﺗﺮﺍﻩ ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺮﺍﻙ
‘তুমি যদিও তাকে দেখ না, তিনি তো তোমাকে দেখেন’।
রাসুল সাঃ সুন্নাত বহির্ভূত কাজ করছি,এ খবর রাসুলের দরবারে পৌছানো হলে উম্মত হিসাবে কিভাবে মুখ দেখাবো? হাশরের মাটে শাফায়াত লাভ হবে কি? রাসুল বলেন -আমার উম্মতের নেকি বদী সব আমার সামনে উপস্থিত করা হয়।
যখন আমার আমল উপস্থিত করা হবে তখন রাসুল কততটুকু কষ্ট পাবেন? কাল হাশর মাটে অন্য নবীদের সামনে নিজের উম্মত বলে গর্ব করতেেপারবেন তো?
আরেক হাতিয়ার, হিম্মত। যতটুকু হিম্মত আল্লাহ আপনাকে দিয়েছেন তা কাজে লাগান এবং এভাবে আগে বাড়তে থাক। হিম্মত এমন এক শক্তি যার মোকাবেলা করার মত অন্য কোনো শক্তি দুনিয়াতে নেই। এই যে সিগারেটের অভ্যাস। কত মানুষ সিগারেটের অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছে। নিয়ত করে, খাবে না, আবার শুরু করে । আবার নিয়ত করে, খাবে না, আবার শুরু করে। এভাবে শেষবার যখন বলে- নাহ্, আর খাব না। তখন আর খায় না। তো এই হিম্মতটা আল্লাহর কাছে অনেক দামী। হিম্মতের সাথে আল্লাহর রহমতের খুব বেশী সম্পর্ক। হিম্মত হলে আল্লাহর রহমত আসে। গোনাহ থেকে বাঁচার, তাকওয়া হাসিল করার যত উপায় আছে এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হল হিম্মত করা। আল্লাহ দেখছেন, বান্দা আমার জন্যে চেষ্টা করছে।
ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺍﻟْﺂَﺧِﺮَﺓَ ﻭَﺳَﻌَﻰ ﻟَﻬَﺎ ﺳَﻌْﻴَﻬَﺎ ﻭَﻫُﻮَ ﻣُﺆْﻣِﻦٌ ﻓَﺄُﻭﻟَﺌِﻚَ ﻛَﺎﻥَ ﺳَﻌْﻴُﻬُﻢْ ﻣَﺸْﻜُﻮﺭًﺍ
এ আয়াতের ‘সা‘আ লাহা’-এর দ্বারা হিম্মত বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা এই হিম্মতের কদর করবেন- এই ওয়াদা আল্লাহ তাআলা আগেই দিয়েছেন। বান্দা হিম্মতকে কাজে লাগালে আল্লাহ বলেন, আমি হিম্মতের শোকর করব। এজন্যে দেখা যায়, বান্দা যখন তার সর্বোচ্চ হিম্মতকে কাজে লাগায়, তখন সে সফল হবেই। হিম্মতের সাথে আল্লাহর ওয়াদা ।
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺟَﺎﻫَﺪُﻭﺍ ﻓِﻴﻨَﺎ ﻟَﻨَﻬْﺪِﻳَﻨَّﻬُﻢْ ﺳُﺒُﻠَﻨَﺎ
‘যে মুজাহাদা করবে আমি তাকে আমার পথে পরিচালিত করব’। (সূরা আনকাবূত )
এখানে বলা হয়েছে মোজাহাদা করার কথা। আর আসল মোজাহাদা হল হিম্মত ব্যবহার করা। বান্দা তার হিম্মত ব্যবহার করলে আল্লাহর নুসরত আসবেই।
তো কেউ যদি তাকওয়া হাসিল করতে চায় তাহলে এ চার পদ্ধতি তাকে অবলম্বন করতে হবে।
একটি ঘটনা। একবার মুরাদাবাদীর সাথে খাজা আজিজুল হাসান মাজযুব রাহ.-এর দেখা। তিনি বললেন, খাজা ছাহেব, থানবী রাহ.-এর কাছে যেতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু অবস্থা তো দেখতেই পাচ্ছেন। এ চেহারা সুরত নিয়ে এমন একজন আলিমের কাছে কীভাবে যাই! খাজা ছাহেবও বললেন, হাঁ, এই হালতে কীভাবে যাবেন। সৌভাগ্যক্রমে খাজা ছাহেব হযরত থানবী রাহ.-কে কথাগুলো বললেন- জিগার মুরাদাবাদীর সাথে দেখা হয়েছিল। সে এই এই বলেছিল, আমি এই এই বলেছিলাম। হযরত থানবী রাহ. বললেন, আহ! খাজা ছাহেব, আমি তো মনে করেছিলাম, তাসাউফের সাথে আপনার মোনাসাবাত হয়ে গেছে। এখন তো দেখছি, এর হাওয়া বাতাসও আপনার গায়ে লাগেনি। আপনার তো বলা উচিত ছিল- না, এই অবস্থায়ই আস।
এই বুজুর্গরা তো আল্লাহর খলিফা। তাদের দরজা সবার জন্য খোলা।
ﺍﻳﮟ ﺩﺭﮔﺎﮦ ﻣﺎ ﺩﺭ ﮐﺎﮦ ﻧﺎ ﺍﻣﻴﺪﯼ ﻧﻴﺴﺖ
এই দরবার তো সকলের জন্য উম্মুক্ত’। যারা আল্লাহর রাসূলের নায়েব তাদের দরজাও তো সবার জন্যে খোলা। যে হালতে আছ এসে যাও।
জিগার মুরাদাবাদীর সাথে খাজা ছাহেবের আবার যখন দেখা হল, তখন খাজা সাহেব জিগার মুরাদাবাদীকে হযরতের কথাগুলো বললেন। হযরতের কথা শুনে জিগার মুরাদাবাদীর কিছুটা হিম্মত হল।
তিনি শরাবপানে অভ্যস্ত ছিলেন। হযরতের কাছে যখন আসা-যাওয়া শুরু করলেন, তখন তওবা করলেন, আর শরাব পান করবেন না। শরাব পান করার পুরানো অভ্যাস তার ছাড়তে
অনেক কষ্ট হল। শরাব ছেড়ে দেয়ার
কারণে যখন তার জান যায় যায় অবস্থা তখন একজন বলেছিল, এমন হালতে তো হারাম খাওয়াও জায়েয। তিনি বললেন, না। জান বের হয়ে গেলেও আমি শরাব পান করব না।
তো হিম্মত এটা কোনো ওয়াজের বিষয় না। এটা কাজ করার বিষয়। সুতরাং হিম্মত কর। গোনাহ থেকে বেঁচে থাক।
নেক আমল কর।
ঈমান ও তাকওয়া যার ভেতরে থাকবে, দুনিয়াবী বিপদ-আপদে কখনো কখনো তাকেও কষ্ট করতে হবে; তবে
সে কখনো বেচাইন ও পেরেশান হবে না। দুনিয়ার বিভিন্ন হালতে তার কষ্ট হবে; তবে হায়-হুতাশের যে পেরেশানী এমন পেরেশানী তার মধ্যে কখনো হবে না।জিন্দেগী হবে-
ﺯﻧﺪﮔﯽ ﭘﺮ ﮐﯿﻒ ﭘﺎﮰ ﮔﺮﭼﮧ ﻏﻢ ﭘﺮ ﻏﻢ ﺭﮨﺎ ﺍﻥ ﮐﮯ ﻏﻢ ﮐﮯ ﻓﻴﺾ ﺳﮯ ﻣﯿﮟ ﻏﻢ ﻣﯿﮟ ﺑﮭﯽ ﺑﮯ ﻏﻢ ﺭﮨﺎ
‘আমার যিন্দেগীটা বড় মজার যিন্দেগী, যদিও সেখানে ছিল অনেক পেরেশানী। কিন্তু আমি ছিলাম আল্লাহর মুহাববতের ব্যথায় ব্যথিত। এজন্যে অন্য কোনো ব্যথা আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি।’ এভাবে হলে আর কষ্টগুলো গায়ে লাগবেনা।
আল্লাহ আমাদেরকে তাকওয়া হাসিলের তাওফিক দান করুন।আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন