শবে বরাত অনেক অনেক ফযিলতপূর্ণ একটি রাত।যে রাত সম্পর্কে সহী হাদীস বিদ্যমান আছে।রাসুল সাঃ বলেছেন: সে রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন।এবং মুশরিক ও হিংসা পরায়ণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করেন।(সহী ইবনে হিব্বান,১২খন্ড,৪৮১নং পৃষ্টা,৫৬৬৫নং হাদীস।)
যেহেতু রাতটি এতোই গুরুত্বপূর্ণ, আল্লাহ তাঁর বান্দার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেন এবং ক্ষমা করেন সেহেতু বান্দারও উচিৎ আল্লার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া(অন্যান্য রাতের মতো রাতটি না কাটিয়ে ইবাদাত বেশী করা,এবং ক্ষমা চাওয়া।এটা ফযীলতেরই দাবী)
তারপরও বায়হাকীতে মুরসাল জায়্যিদ একটি হাদীস আছে।যেটিতে রাসুল বিশেষভাবে এ রাতে দীর্ঘ নামাজ পড়েছেন মর্মে উল্লেখ আছে।রাসুল সিজদার মধ্যে এ দুয়াও পাঠ করেছেন- اعوذ بعفوك من عقابك،واعوذ برضاك من سخطك،واعوذبك منك اليك،لا احصي ثنأ عليك،انت كما اثنيت علي نفسك.
সুতরাং আমরা নফল নামাজে সিজদায় এ দুয়া পাঠ করার মাধ্যমে দীর্ঘ নামাজ পড়তে পারি।আল্লার কাছে কান্নাকাটি করে জীবনের গুণাহর জন্য ক্ষমা চাইতে পারি।মুরদেগাণদের জন্য ক্ষমা চাইতে পারি,এবং কবর জিয়ারত করতে পারি।
তবে প্রচলিত আগরবাতি,মোমবাতি জ্বালানো,বিশেষ পদ্ধতিতে নামাজ(যেমন ৫০রাকাত, ১০০ রাকাত নামাজ পড়তে হবে,অমুক রাকাতে এতো বার অমুক সুরা পড়তে হবে) এসব বানোয়াট,মনগড়া ও বিদয়াত,এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা এ রাত্রে স্বাভাবিক ভাবে যে কোন সুরা দিয়ে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়তে পারি,জিকির আযকার,কোরআন তেলাওয়াত করতে পারি।নামাজের রাকাত সংখ্যা বেশী হতে পারে কোন সমস্যা নেই,তবে ভিন্ন পন্থায় কোন নামাজ নেই।সাধারণ নফল নামাজ পড়তে হবে।
আল্লাহ পাক আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।এ রাতের ফয়েজ বরকত দান করুন।আমাদের ক্ষমা করুন।আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন