সোমবার, ২০ মে, ২০১৯

রোজার নিয়ত

রোজার জন্য পানাহার ত্যাগ করা যেমন ফরয, তেমনি নিয়ত করাও ফরয, কিন্তু নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা ফরয নয়, শুধু কেউ যদি মনে মনে চিন্তা করে এ সংকল্প করে যে, আমি আজ আল্লাহর নামে রােযা রাখব এবং এরপর সে পানাহার না করে তবেই তার রোজা হয়ে যাবে; কিন্তু যদি কেউ মনের চিন্তা ও সংকল্পের সাথে সাথে মুখেও আরবীতে বা বাংলায় নিয়ত উচ্চারণ করে নেয় যে, "আমি আল্লাহর নামে রোজা রাখার নিয়ত করলাম” তবে তাও ভালাে।

দলীলঃ আলমগীরী, দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৯৫ পৃষ্ঠা।

রামাদ্বান মাসে যদি রামাদ্বানের রোজা বা ফরয রোজা রাখছি” বলে নিয়ত নাও করে, শুধু এটুকু নিয়ত করে যে, “আমি আজ রোজা রাখব” অথবা রাতে মনে মনে বলে যে, ‘’আগামীকাল রোজা রাখব” তবে তাতেও রামাদ্বানের রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে।

দলীলঃ আলমগীরী, ১ম খন্ড, ১৯৫ পৃষ্ঠা ; দুররে মুখতার ২য় খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠা।

শরীঅতে সুবহে সাদেক থেকে রোজা শুরু হয়, কাজেই সুবহে সাদেক না হওয়া পর্যন্ত পানাহার ইত্যাদি সব জায়েয়। অনেকে শেষ রাতে সেহরী খাওয়ার পর নিয়ত করার কারনে রাত থাকা সত্ত্বেও কিছু পানাহার করাকে নাজায়েয মনে করে, এটা ভুল। সুবহে সাদেক হওয়ার পূর্ব (সেহরির শেষ সময়ের আগ) পর্যন্ত সব জায়েয আছে, নিয়ত করুক বা না করুক। (তবে সুবহে সাদেক হওয়ার সন্দেহ হলে এসব না করাই শ্রেয়।)

দলীলঃ আলমগীরী ১ম খন্ড, ১৯৪ পৃষ্ঠা ; রদুল মুহতার, ২য় খন্ড ৯৫ পৃষ্ঠা ; সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭)

রাতে রামাদ্বানের রোজার নিয়ত করলেও ফরয আদায় হয়ে যায়। আর যদি রাতে রোজার নিয়ত না করে; বরং ভাের হয়ে যাওয়ার পরেও রোজা না রাখার খেয়াল থাকে তারপর বেলা বাড়লে খেয়াল হয় যে, ফরয রোজা ছেড়ে দেওয়া অন্যায়, তাই তখন রোজার নিয়ত করে নেয়, তবু রোজা হয়ে যাবে। কিন্তু সকালে কিছু পানাহার করে থাকে তবে আর রোজার নিয়ত করতে পারবে না।

দলীলঃ রদ্দুল মুহ্তার ২য় খন্ড, ৯২ পৃষ্ঠা ; জাওহারা ১৩৯ পৃষ্ঠা।

সংগ্রহেঃ আহসান হাবীব শাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন